সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন
এস আল-আমিন খাঁন পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় যেন কর্মকর্তাদের নীজ বসতবাড়ি যেমন খুশি তেমন চলছে কার্যক্রম মনে হয় এ যেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরদের ওয়ারিশ সুত্রে পৈত্রিক সম্পদ।
নানান অনিয়ম দূর্নীতির বেড়াজালে জেলার শ্রেষ্ঠ দূর্নীতির স্থান দখল করে বসে আছে। সংবিধান অনুযায়ী রা্ষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী একমাত্র ভিআইপি আর সবাই জনগনের কর্মচারী অথচ এই জনগণের টাকায় বেতন ভাতা নিয়ে তাদেরকেই চোখ রাঙানো হচ্ছে। পিআইও কর্মকর্তা হিসেবে মোঃ হুমায়ুন কবির দুই উপজেলা রাঙ্গাবালী ও কলাপাড়ার দায়িত্বে রয়েছেন মাসে দুই থেকে তিন দিন অফিস করেন রাঙ্গাবালী উপজেলায় বাকি দিনগুলো কলাপাড়া থাকেন।
উপকূলীয় ঘূর্নীঝড় আশ্রয়ন প্রকল্পের রাঙ্গাবালী উপজেলারর কার্য-সহকারী মোঃ শাহাদাত হোসেনকে দিয়ে চালিয়ে নিচ্ছেন সকল অফিস কার্যক্রম। সুযোগ পেয়ে হোক কিংবা কর্মকর্তাদের যোগসাজশে হোক তার বিভিন্ন কার্যক্রমে রয়েছে দূর্নীতি অনিয়ম।
জানাগেছে গত (২০২১- ২২) অর্থ বছরের কোন কাজ তিনি সম্পূর্ণ করেনি। সড়েজমিন ঘুরে জানা গেছে, বরাদ্দের সিভিসি যারা তাদের সাথে মিলে শাহাদত হোসেন অর্থনৈতিক লেনদেনর মাধ্যমে সামান্য কাজ করেই শেষ করেন প্রকল্পের কাজ। এছাড়া ও জানা যায়, উপকূলীয় ঘূর্নীঝড় আশ্রয়ন প্রকল্পের বাংলাদেশর সকল কার্য-সহকারীকে (২২ নভেম্বর) অফিসিয়াল কার্যক্রম নিষেধ করে চিঠি দেয়া হয়।
এরপরেও তিনি এখন পর্যন্ত অফিসের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার পাশেই কালেক্টর স্কুল মাঠ ভরাট দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়া। সাবেক পিআইও তপন কুমার ঘোস আগুন মূখার আলো কিন্টার গার্ডেন স্কুলের জন্য মাঠ ভরাটের কার্যক্রম সম্পন্ন করে গেলেও সেখানে কিছু অংশে ১ লক্ষ টাকার বরাদ্দে দেখিয়ে মাত্র ২০ হাজার টাকার বালু ফেলে কাজ শেষ করেন।
অথচ এ কাজের সিভিসি যারা তারা কিছুই জানে না তারা শুধু স্বাক্ষর করেন বিল তোলেন শাহাদাত। এভাবে ৭-৮ টি বরাদ্দে যেখানে মাঠ ভরাট করতে দুই লক্ষ টাকার বেশি লাগেনি সেখানে বরাদ্দের সমস্ত টাকাই শাহাদত এর পকেটে। রাঙ্গাবালী উপজেলা পশু হসপিটালে মাঠ ভরাটে গত বছর সমান্য কাজ করেই শেষ করা হয়।
এবিষয়ে হাসপাতালের কর্মকর্তারা বলেন, পিআইও অফিস থেকে লোক এসে ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলে চলে গেছে। মাঠ ভরাটে কত টাকা বরাদ্দ আর কত টাকার বালু ভরাট করা হয়েছে এর কিছুই তারা জানেনা। এছাড়া কাজির হাওলা কমিউনিটি ক্লিনিক মাঠ ভরাট ১৬.৫০০ টন গম বরাদ্দ দেয়া হয় সেখানে মাত্র ২০ হাজার টাকায় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। দক্ষিন ভাঙ্গুনী গাজী বাড়ি মাঠ ভরাটের জন্য কবিটা কর্মসূচি ১ম বরাদ্দ ৮ লক্ষ টাকা কিন্তুুু বাস্তব চিত্রে কাজ হয়নি বল্লেই চলে।এছাড়া ও বিভিন্ন স্থানে মাটির রাস্তা নির্মান অসম্পন্ন রয়েছে।
কোন রকম মাটির ছোয়া দিয়েই কাজ শেষ। এভাবে স্ব-স্ব এলাকার গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার করার জন্য কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী (কাবিখা) এর আওতায় সরকারের ত্রান ও পূর্নবাসন মন্ত্রানালয়ের বিপুল পরিমান অর্থ বরাদ্দ হলেও অধিকাংশ মেম্বারদের সাথে আঁতাত করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন শাহাদাত হোসেন।
এ নিয়ে কয়েক বার অফিসে তথ্য অধিকার আইনের ফর্মে অবেদন করে ও তথ্য পাওয়া যায় নাই। এবিষয় জানেতে চাইলে পিআইও হুমায়ুন কবির বলেন,আমি কাকে দিয়ে অফিস চালাবো এটা আমার ব্যাপার আপনি আমাকে ফোন দিছেন কেন আপনার রাইট নিয়া আপনি থাকেন বেশি বোঝার চেষ্টা করলে সমস্যায় পরবেন। আপনাকে কোন তথ্য দেয়া যাবেনা বলে জানান।